শীত বাড়তেই অনেক মা–বাবার সবচেয়ে বড় চিন্তা—রাতে শিশু গায়ে কাঁথা বা কম্বল রাখতে চায় না। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নানা মজার মন্তব্য দেখা যায়।
এক মা লিখেছেন, ‘বিজ্ঞানীরা কেন এমন একটি মেশিন বানায় না, যা প্রতি ১৫ মিনিটে শিশুর গায়ে কাঁথা আছে কি না চেক করবে! না থাকলে নিজে থেকে ঠিক করে দেবে!’
শিশুরা ঘুমের সময় নড়াচড়া বেশি করে। ফলে কম্বল সরে যায়, শরীর ঠান্ডা লাগে এবং সহজেই সর্দি–কাশিতে আক্রান্ত হতে পারে। তাই শীতের রাতগুলোতে শিশুকে উষ্ণ ও নিরাপদ রাখতে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
১. শিশুকে সঠিক পোশাক পরান
ঘুমের সময় শিশুকে ভারী পোশাকের পরিবর্তে কয়েক স্তরে পাতলা গরম পোশাক পরান। এতে উষ্ণতা থাকে এবং ডায়াপার পরিবর্তনও সহজ হয়।
২. ঘরের তাপমাত্রা ঠিক রাখুন
অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা যেন না হয়। শিশুর ঘর ১৮–২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখাই আদর্শ। থার্মোমিটার থাকলে রুমের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করতে সুবিধা হয়।
৩. রম্পার বা ওয়ানজি ব্যবহার করুন
যদি শিশু কম্বল সরিয়ে ফেলে, তবে রম্পার, জাম্পস্যুট বা ওয়ানজি ভালো সমাধান। চাইলে শিশুর জন্য বিশেষ স্লিপিং ব্যাগও ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪. বাতাস থেকে দূরে রাখুন
ক্রিব বা দোলনাটি জানালা, দেয়াল বা ফ্যানের কাছ থেকে দূরে রাখুন। জানালা–দরজা ঠিকমতো বন্ধ আছে কি না দেখে নিন।
৫. ভালো তোশক ব্যবহার করুন
অতিরিক্ত নরম তোশক ব্যবহার না করাই ভালো। মাঝারি দৃঢ়তা ও উষ্ণ কাপড়ের তোশক শিশুকে আরামদায়ক রাখে এবং ঠান্ডা বাতাস ঠেকায়।
৬. মাথা ও হাত ঢেকে রাখুন
মাথা ও হাত দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমে। নরম টুপি ও হালকা হাতমোজা ব্যবহার করলে শিশুকে উষ্ণ রাখা সহজ হয়। চাইলে মোজাও পরিয়ে দিতে পারেন।
৭. বিছানা শুষ্ক রাখুন
শিশুর বিছানা, চাদর, লেপ–তোশক নিয়মিত রোদে দিন। খুব ঠান্ডা হলে ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে বিছানা সামান্য গরম করে নিতে পারেন। তবে শিশুকে শোয়ানোর আগে অবশ্যই সেই হিটিং প্যাড বা গরম বোতল সরিয়ে ফেলতে হবে।