বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন একজন আপসহীন নেত্রী ও দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি বহু চ্যালেঞ্জ, সংকটের মধ্যে দিয়ে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশের বহুদলীয় রাজনীতিতে তাঁর অবস্থান ও প্রভাব অনস্বীকার্য।

দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন। তার মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তারা। তারা বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একজন প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন।

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে আজ রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রবাসী বাংলাদেশি মো. শেখ ফরিদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের মৃত্যুতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটলো।

তিনি বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি বহু চ্যালেঞ্জ, সংকটের মধ্যে দিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশের বহুদলীয় রাজনীতিতে তার অবস্থান ও প্রভাব অনস্বীকার্য।

শহীদুল ইসলাম রাসেল নামের একজন ব্যবসায়ী খালেদা জিয়ার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়া ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম শীর্ষ নেত্রী ছিলেন। খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একজন প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন বলেও জানান তিনি।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মো. মোমিন হোসেন শিপন বলেন, দেশ ও জাতির প্রয়োজনে এখন বেগম খালেদা জিয়ার খুব প্রয়োজন ছিল। তিনি খালেদা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার ও স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

পথচারী আমজাদ হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সৎ, ন্যায়পরায়ণ ও কর্মঠ সরকার প্রধান ছিলেন। তিনি গরিব ও সাধারণ মানুষের জন্য দেশে অনেক কাজ করেছেন।

রিকশা চালক আবদুল আজিজ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ নিরাপদে ছিল। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কম ছিল। তিনি দেশে অনেক ভালো কাজ করেছেন। আল্লাহতায়ালার কাছে তার জন্য দোয়া করি।’

রাজধানীর মিরপুর মনিপুরী পাড়ার শিউলি বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘সকালে কাজে গিয়ে শুনলাম খালেদা জিয়া মারা গেছেন। খবরটা শোনার পর আর সেখানে দাঁড়াতে পারিনি। কাজ ফেলে সোজা বাসায় চলে যাই, তারপর জিয়া উদ্যানে চলে এসেছি। কথা বলতে বলতে চোখের পানি মুছেন তিনি। শিউলি বেগম আরও বলেন, ‘আজ তারেক রহমান এতিম হয়ে গেলেন। ছেলেটার আর কেউ রইলো না। মা-ই তো ছিল তার সবকিছু।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You missed